অচেনা কবি নাজিম

ওরা রাজাকার  ওদের গুরু সাতান্নর  মীরজাফর, করে ক্ষতি এদেশের বছরের পর বছর।  ওরা রাজাকার  তাই চায়না হোক এদেশের ভালো, নিভাতে চায় উন্নয়নের আশার আলো।  ওরা রাজাকার লুকিয়ে আছে তারা মানুষের মাঝে,  দেশের ক্ষতি তাদের প্রতিটি কাজে।  ওরা রাজাকার  গোপন শত্রু তারা বেইমান,   তাই স্বীকার করে না এদেশের দান।  ওরা রাজাকার   এদেশের খেয়ে শত্রুতা করে এ দেশের সাথে,  দেশটা আজ ক্ষতবিক্ষত তাদের হাতে।  ওরা রাজাকার  ওরা খুব চালাক তাদের চেনা বড় দায়,  ওরা আজো মগ্ন এ দেশের শত্রুতায়।  ওরা রাজাকার  কার্যকলাপ তাদের এক এক রকম,  ওদের থাবায় এদেশ আমার হয়েছে যখম।  ওরা রাজাকার ওদের বন্ধু মানুষ রুপের শকুন,  ওরা দেশের সোনার ছেলে করে খুন।  ওরা রাজাকার  ওদের দৃষ্টির রুক্ষ্ন যেমন চৈত্রের দুপুর,  ওরা প্রকাশ্য শত্রুর পা চাটা কুকুর। 

পড়ন্ত বিকেলে বসে আছি ছায়াঘেরা একস্থানে, প্রিয়তমা তোমাকে বারবার পড়ে মোর মনে। ফেলে আসা দিনের স্মৃতি আজ হৃদয়ে ভাসে, এ হৃদয়ে  বেদনা অনেক তুমি নেই পাশে। পড়ন্ত বিকেলে সূর্য গেছে হেলে পড়ে লম্বা দেয়ালের ছায়া, ভুলতে যে পারি না পেছনে পড়ে থাকা দিনগুলোর মায়া। একসাথে কত পথ চলেছি যে হেঁটে, কথার ভুবনে হারিয়ে গিয়ে যেত সারা দিন কেটে। কতদিন দেখি না গো প্রিয়সী তোমার মুখ সে কথা ভাবতেই বেদনায় ভরে গেছে বুক। জানিনা তুমি আমায় গেছো নাকি ভুলে, মনে পড়ে তোমাকে এ-ই পড়ন্ত বিকেলে।

দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল  প্রিয়সী তোমাকে নিয়ে, বুঝতে পারিনি তোমার অবহেলায় স্বপ্ন যাবে হারিয়ে। তোমার চোখে নেই ভালবাসা  শুধু আছে রাগ আর ঘৃণা, পারিনি বাজাতে তোমার মনে আমার প্রেমের বীণা। তবেকি যোগ্য নই তোমাকে পাওয়ার মনেতে প্রশ্ন জাগে, ভুল করেছি ভুল,  জীবনে ভেবে তো দেখিনি আগে। সে ভুলের জন্য পায়নি আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবতা, অনেক ভেবে স্বপ্ন দিয়েছি কবর বুকে চাপিয়ে ব্যথা। কেউ কখনো মিথ্যে  স্বপ্ন দেখোনা সত্যি ভালবেসে নিয়তি কাদাঁবে স্বপ্ন ভেঙে  তোমাকে অবশেষে।

কি নিরব পূর্নিমা রাত, দূরে হাসছে গোলাকার চাঁদ। আমি এখনো জেগে আছি, আর দেখছি চাঁদের হাসি। হয় তুমি ঘুমিয়ে নয় আমার মতন চেয়ে  দেখছো আলোকিত ভুবন। আর ভাবছ কত কথা, কি অপূর্ব নীরবতা। মনে যা আসছে তা লিখছি, আর তোমার কথা ভাবছি। তোমার হৃদয়ে আমি নাকি অন্য কেউ, সৃষ্টি করছে আবেগের ঢেউ। আমি এখন খোলা আকাশের নিচে, তুমি হয়তো জানালার কাছে বসে। দেখছো বাগান চাঁদের আলোতে, যেই ফুল ফোটে রাতে। তাদের সুবাস হয়তো আসছে ভেসে, বুক ভরে নিও প্রতিটি নিঃশ্বাসে । অনেকেই দেয় যার যেমন ইচ্ছা, তোমাকে দিলাম এক পূর্ণিমা রাতের শুভেচ্ছা। রাত জাগা পাখি ডাকে মোর লাগে ভালো, জলে আর নিভে যায় জোনাকির আলো। মনে মোর জাগে ব্যথা সাথে নেই তুমি, একা একা আকাশের তারা গুনি আমি। ভালো হত যদি থাকতে তুমি মোর সাথে, আরেকটি নতুন কবিতা লিখবো এক নতুন পূর্ণিমা রাতে।

তুমি হয়তো আজও বসে জানালার ধারে থাকো পথের দিকে চেয়ে , স্মৃতিগুলো ভেবে কি তোমার ঝরে অশ্রু দু ’ গাল বেয়ে । কুড়িয়ে ফুল বকুল তলায় তুমি হয়তো মালা গেঁথে গেঁথে , অপেক্ষায় আছো আমার গলায় পরিয়ে তুমি দিতে । মধুর কোন স্বপ্ন দেখে মাঝরাতে যদি চোখ থেকে ঘুম চলে যায় , স্মৃতি নিয়ে কি গল্প করো তারার সাথে   তুমি বাড়ির আঙ্গিনায় । তুমি হয়তো আজও তোমার হৃদয়ে আমার জন্য রেখেছো স্থান , ভাবো কি তুমি আনমনা হয়ে   কখন হবে এ বিরহের অবসান । তোমায় নিয়ে লেখা যত কবিতা পড়েছো কি তুমি বসে নিরালায় , জলে ভিজেছে কি দুচোখের পাতা   মনে করে শুধু আমায় । তুমি হয়তো আজও অঝোরে বৃষ্টি এলে   ঘরের বাইরে এসে ,   তোমার কোমল দুহাত মেলে ভিজাও দেহ তুমি হেসে হেসে । তুমি হয়তো ভাবছো মোরে ভালোবাসা উজার করে দিতে , এইতো আসছি কিছুদিন পরে তোমায় আপন করে নিতে ।

  পড়ন্ত বিকেলে  মো: নাজিম হোসেন  পড়ন্ত বিকেলে বসে আছি ছায়াঘেরা একস্থানে , প্রিয়তমা তোমাকে বারবার পড়ে মোর মনে । ফেলে আসা দিনের স্মৃতি আজ হৃদয়ে ভাসে , এ হৃদয়ে   বেদনা অনেক তুমি নেই পাশে । পড়ন্ত বিকেলে সূর্য গেছে হেলে পড়ে লম্বা দেয়ালের ছায়া , ভুলতে যে পারি না পেছনে পড়ে থাকা দিনগুলোর মায়া । একসাথে কত পথ চলেছি যে হেঁটে , কথার ভুবনে হারিয়ে গিয়ে যেত সারা দিন কেটে । কতদিন দেখি না গো প্রিয়সী তোমার মুখ, সে কথা ভাবতেই বেদনায় ভরে গেছে বুক । জানিনা তুমি আমায় গেছো নাকি ভুলে , মনে পড়ে তোমাকে এ-ই পড়ন্ত বিকেলে ।